নিউজ ডেস্ক : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাদের শনিবার গভীর রাতে সেনাবাহিনী ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রংপুর সেনপাড়া এলাকার ‘দ্য স্কাই ভিউ’ নামের বহুতল ভবনে জি এম কাদেরের বাসায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর তদন্তের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দলের কয়েকজন নেতাকে রংপুর সেনানিবাসে ডেকে পাঠায়।
জিজ্ঞাসাবাদের খবর শুনে সেখানে ছুটে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি সেখানে সাক্ষাৎ করেন ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সঙ্গে।
ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, “শরীরে যতক্ষণ রক্ত আছে, উই আর নট গোয়িং টু প্রমোট এনিওয়ান যে দেশের বিরুদ্ধে করে। আপাতত স্ট্যান্ডিং হলো যে জনগণের অসুবিধা করে, ভ্যান্ডালিজম (নাশকতা) করে, মবের নামে যে আগুন লাগায়, ঘরদোর ভাঙচুর করে—এই পার্টিটাকে বার্তা দেওয়া যে, না, এইটা করার সুযোগ নেই এখন।”
এ সময় সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্তের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হোক, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির যে কাউকে হোক, জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে আমরা মনে করি, রাত ১টা বা ২টা সময়টা দৃষ্টিকটু দেখায়। আমরা প্রত্যাশা করি, দিনের আলোতে অফিস আওয়ারে ডেকে নেওয়া হোক।”
ঘটনার পর সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “রংপুরে ফ্যাসিস্ট দোসরদের গ্রেপ্তার না করে অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধাদের বিব্রত করলে আগামীকাল আবার দেখা হবে রংপুরের রাজপথে।”
সেনাবাহিনী এখনও ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।