সর্বশেষ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদাসীনতার সুযোগে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের অবৈধ পর্ষদ সক্রিয় 

এস এম আকাশ : আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আত্মসাৎকৃত ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সংশ্লিষ্টদের পক্ষে অবস্থান নেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে এভাবেই মালয়েশিয়ান পর্ষদ অবজ্ঞা করে নিজের খেয়াল খুশি নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতি এহন অবমাননা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক এই অবৈধ পর্ষদ বিলুপ্ত করার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আর এ কারণে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৯ ডিসেম্বর একজন নির্বাহী পরিচালককে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে অস্থায়ী নিয়োগ দিলেও গত প্রায় এক মাসেই ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় আমানতকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। এরই মধ্যে ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও উন্নতি হতে দেখা যায়। সম্প্রতি মালয়েশিয়ান অবৈধ পর্ষদ নতুনভাবে ব্যাংকটিতে নিজেদের কর্তৃত্ব পুনঃ উদ্ধারে সাবেক এমডি শফিক বিন আব্দুল্লাহ বিভিন্ন অবৈধ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই নির্দেশনায় সাবেক কোম্পানি সচিব উজ্জ্বল ও এইচ আর হেড পারভেজ ইউসুফ চৌধুরী ব্যাংকে পুনরায় তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দুর্নীতিতে পাকা সদ্য বিদায়ী নির্বাহী পরিচালককে ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা যায়। এই নির্বাহী পরিচালক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে পূর্ণ মেয়াদে চাকরি করে অবসরে যান।

এই দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি হিসেবে মালয়েশিয়ান পর্ষদের হুকুম মোতাবেকই কার্য পরিচালনা করবেন। ফলে বাংলাদেশের আমানতকারী ও ব্যাংকের বাংলাদেশী কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষা না করে নিজেদের আয়ের উৎস জোরদার করবে। জানা যায় ব্যাংকের অবস্থা উন্নতির পরিবর্তে চূড়ান্ত ধ্বংসের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির নীরব ভূমিকা সবার মধ্যে বিক্ষোভের সৃষ্টি করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

সময়ের সেরা