সর্বশেষ

কব্জির রগ কেটে দেওয়ায় ইলিয়াছ মামলা দিলো নওফেলের বিরুদ্ধে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগষ্ট সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরা চাক্তাই এলাকার মদন মিয়ার ছেলে ভ্যান চালক মোঃ ইলিয়াছকে কুপিয়ে হাতের কব্জির রগ কেটে ফেলে। এসময় তার ওপর গুলি চালায় ও হাতবোমা-ককটেল নিক্ষেপ করে।

এই ঘটনায় দীর্ঘ ৭ মাস পর ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নগরের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করেন। যদিও বিষয়টি জানাজানি হয়েছে রোববার।

মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছাড়াও সাবেক চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা, বিস্ফোরণ, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরীকে একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন রশিদ হারুন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন আকতার রুজিকেও আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয় ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে তিনি বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ মীর পেট্রোল পাম্পের সামনে বন্ধুরাসহ জড়ো হন। ওইদিন দুপুর থেকেই সেখানে অভিযুক্তরা কিরিচ, রামদা, লাঠিসোঁটা, দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্রসহ নিয়ে অবস্থান নেন। এসময় মিছিল নিয়ে আসামিরা আন্দোলন বন্ধে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা রিজান ভ্যান চালক মোঃ ইলিয়াছের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে কিরিচ দিয়ে কোপ মারে। এই সময় তার কব্জির রগ কেটে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ৬ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় সুস্থ হয়ে তিনি বাকলিয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে হামলা, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলায় মোট আসামি ১২৭ জন।

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

সময়ের সেরা