সর্বশেষ

২৪ এর আন্দোলনে আহত, শহীদ ও মেধাবীদের অবমূল্যায়ন

হাসান মিয়া

২০২৪ সালের “জুলাই আন্দোলন” বা “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান” বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের যেমন পরিবর্তন করে তেমনি বাংলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে। আন্দোলনের মূল কারণ ছিল সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে “কোটা” পদ্ধতির ব্যবহার।অতীতের স্বৈরশাসক মেধার মূল্যায়ন না করে কোটার উপর ভিত্তি করে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে মেধার অবমূল্যায়ন করতে চেয়েছে। যার ফলে “কোটা” কে ইস্যু করে ছাত্র আন্দোলন গণ আন্দোলনের রূপ নেয়। ফলে ৫ই আগস্ট ২০২৪ স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হয়।এই আন্দোলনের মূল্য লক্ষ্য ছিল “কোটা পদ্ধতির” নিরসন।

গত ২৬শে মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক “মোঃ রফিকুল ইসলাম” এর বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় যে ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে হতাহতের পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ২০২৪-২০২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুবিধা পাবে। যা অতীতের কোটা পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তকে ভিত্তিহীন বলে মনে হচ্ছে। কেননা যদি স্বৈরশাসনের অনুসরণ করে সেই কোটার মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় হতা-হতের পরিবারকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন মেধার অবমাননা হচ্ছে তেমনি জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। তাই জুলাই আন্দোলনকে,আন্দোলনে আহত ও শহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে এমন সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেন সকল নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মাধ্যমে মূল্যায়ন করে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বিশেষ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তাদের মূল্যায়ন করা হয়। এর জন্য সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এই সিদ্ধান্তকে বাতিল বলে ঘোষণা করে ভবিষ্যতে যেন এমন নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

শিক্ষার্থী,‌ ঢাকা কলেজ।

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

সময়ের সেরা