সর্বশেষ

সাবেক আইজিপি মামুনের দোষ স্বীকার, সত্য প্রকাশে শর্তসাপেক্ষ ক্ষমা বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল

ডিসিবি নিউজ ডেস্ক:

চব্বিশ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে চাওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের ক্ষমার বিষয়টি শর্তসাপেক্ষে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শনিবার (১২ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল এই বিষয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন।

দুই পৃষ্ঠার আদেশে বলা হয়েছে, মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী রাজসাক্ষী হিসেবে তাকে ক্ষমা দেওয়ার আবেদন করেছেন। তবে ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট করেছে ক্ষমা পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো, মামুনকে নিজ অপরাধসহ প্রধান ও সহযোগী আসামিদের অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ, নির্ভরযোগ্য ও সত্য তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেন সাবেক আইজিপি।

তিনি বলেন, “আমি জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলাম। যারা এই অপরাধে অংশ নিয়েছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই এবং রাজসাক্ষী হিসেবে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।” সেই দিনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠনের আদেশ দেয়।

আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল জানান,“মামলার প্রাথমিক তথ্য ও অভিযোগপত্র পর্যাপ্ত। তাই আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করা হলো।”আদালত মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ৩ আগস্ট এবং রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৪ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছে।

এই মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (পলাতক), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (পলাতক), সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন (আত্মসমর্পণ করে রাজসাক্ষী)

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

সময়ের সেরা