ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠার পর, নিজস্ব প্রতিরক্ষা ঘাঁটি পুনর্গঠনে তৎপর হয়েছে ইরান। এরই অংশ হিসেবে চীনের তৈরি অত্যাধুনিক বিমান-প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র HQ-9 সংগ্রহ করেছে তেহরান। তেলের বিনিময়ে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে রয়েছে মিডল ইস্ট আই।
২০০১ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে HQ-9 ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যার নকশা রুশ S-300-এর আদলে তৈরি। প্রতিটি মিসাইল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এতে ১৮০ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করা সম্ভব। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মূলত যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও ক্রুজ মিসাইল ঠেকাতে সক্ষম একটি সারফেস-টু-এয়ার (Surface-to-Air) প্রতিরক্ষা সিস্টেম।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক ১২ দিনের সংঘাতে ইরানের দুর্বল প্রতিরক্ষা কাঠামো প্রকাশ্যে আসে। ইসরায়েল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল হামলা চালাতে সক্ষম হয়। যুদ্ধবিরতির সুযোগে ইরান এখন তার প্রতিরক্ষা ঘাটতি পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তেহরান থেকে HQ-9 সিস্টেম পৌঁছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সূত্র। এমনকি হোয়াইট হাউজও এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, HQ-9 যুক্ত হওয়ায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষে প্রতিরোধ গড়তে সহায়ক হবে। তবে এই পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।


