সর্বশেষ

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে চুয়েটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ইপসিতা জাহান সুমা, চুয়েট প্রতিনিধি : ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ, ০৭ এপ্রিল বেলা ১২ঘটিকায় চুয়েটের স্বাধীনতা চত্ত্বর এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিতে চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দও যোগদান করেন। এসময় তারা বিভিন্ন শ্লোগানে ফিলিস্তিনের মুক্তি ও ইসরায়েলের এই মানবতারিরোধী অপরাধ রুখে দেওয়ার আহবান জানান।

চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহির মোহাম্মদ তাজওয়ার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আজকে আফসোস, আমার ভাইয়েরা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হচ্ছে সেই পবিত্র ভূমিতে। আমাদের প্রথম কেবলা ধ্বংস হচ্ছে। সেই ভূমি ধ্বংস হচ্ছে যেখানে হাজার হাজার নবী আগমন করেছেন। আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমরা এই আফসোস কোথায় রাখব। হে গাজাবাসীরা! আমরা তোমাদের বলতে চাই, আমরা খুবই দুর্বল, আজ যদি আমাদের সামর্থ্য থাকত, আমরা অবশ্যই তোমাদের সাথে লড়াইয়ে যোগ দিতাম। তোমাদের আগে শহিদ হতাম। আমাদের শরীর এখানে কিন্তু আমাদের রুহ সেখানে ঘোরাঘোরি করছে। এ আরব বাসীরা, তোমরা কি উম্মাহর পঙ্গু অংশ? তোমাদের কাছে কি এই বেদনা পৌঁছায় না!  এই পরীক্ষা আমাদের সবার। যারা সামর্থ্য থাকার পরও গাজাবাসীর পায়ে দাঁড়ায় নাই, অচিরেই আল্লাহর ফয়সালা আসবে। সময় আমাদের হবে ইনশাআল্লাহ। ফিলিস্তিনের প্রতি ইঞ্চি মুসলিমদের। তারা তো সফল হয়ে গেছে, ব্যর্থ হয়েছি আপনি আমি।

চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন,আজকে আমরা এখানে অনেক বেদনা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আমি মনে করি আপনারা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একমত হয়েছেন, এটি একটা গণহত্যা। আমরা মন থেকে এ গণহত্যার প্রতিবাদ জানাই, ধিক্কার জানাই এবং এই গণহত্যার বিচার চাই। বর্তমান পৃথিবীতে মুসলিম ২০০ কোটি, ইহুদী মাত্র দেড় কোটি। কিন্তু আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আমরা চাইলে বয়কটের মাধ্যমেও অনেক কিছু করতে পারি। আমরা মনে করি আমরা যদি অসহযোগিতা আর প্রতিরোধের মাধ্যমে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারি, তবে অবশ্যই এ নারকীয় গণহত্যা বন্ধ করা সম্ভব।

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, গাজায় যারা আছে, তাদের মাতৃভূমি থেকে সরিয়ে দিয়ে একটা জায়গায় আবদ্ধ করে ফেলছে। আর এখন ওখানে যে নির্যাতন চলছে, তা যুদ্ধ না, এটা ষড়যন্ত্র। ঘৃণ্য ষড়ষন্ত্র। সেখান থেকে মুসলিমদের সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র। এখানে যে জুলুম হচ্ছে। এ জাতীয় ষড়যন্ত্রকে আমরা জঘণ্যভাবে ঘৃণা করছি। শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমাদের সবাইকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে তা যেভাবেই হোক। আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে চাইতে হবে। সেখানে, এম্বুল্যান্সে, আবাসিক ভবনের উপর বোমা ফেলছে। আমাদের সবাইকে তাই প্রতিবাদ করতে হবে। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, সুযোগ আছে তা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পিছিয়ে পড়া যাবে না।

উল্লেখ্য, মিছিল মানববন্ধনের পাশাপাশি চুয়েট শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া মাহফিল, গ্রাফিতি অংকন এবং ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলি পণ্য দূরীকরণের মতো পদক্ষেপও গ্রহন করেছেন।

spot_img
spot_img

সর্বশেষ

সময়ের সেরা